ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ

সারিয়াকান্দিতে বেড়ছে লাল মরিচের আবাদ ও ভালো দামে খুশি কৃষকরা

  • আপলোড সময় : ০৬-০৩-২০২৪ ১০:২১:৫৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৩-২০২৪ ১০:২১:৫৯ পূর্বাহ্ন
সারিয়াকান্দিতে বেড়ছে লাল মরিচের আবাদ ও ভালো দামে খুশি কৃষকরা সারিয়াকান্দিতে বেড়ছে লাল মরিচের আবাদ
বাজারে সবকিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মজুরি ও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়েছে। লাভ বেশি হওয়ায় হাইব্রিড মরিচ চাষ বাড়লেও কমেছে দেশি লাল মরিচের আবাদ। এরপরও ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ার লাল মরিচ দেশসেরা। এর মধ্যে যমুনা ও বাঙালি নদীবিধৌত সারিয়াকান্দি উপজেলার বেলে-দোআঁশ মাটিতে মরিচ বেশি উৎপাদন হয়। কৃষকেরা এখন মাঠে মাঠে লাল মরিচ উত্তোলন, পরিবহণ করে বাড়িতে নেয়া, বাছাই করে উঠান, চাল, চাতাল বা খোলা স্থানে শুকাতে দিচ্ছেন। শুকিয়ে যাওয়ার পর লাল মরিচ আবারও বাছাই করে বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করবেন তারা। যমুনা এবং বাঙালি নদীর পানি নেমে যাওয়ার পরপরই জমিতে জো (কাক্সিক্ষত পানি থাকা) আসলে কৃষকেরা দেশি মরিচের বীজ বপন বা হাইব্রিড মরিচের চারা রোপণ করেন। বিগত বছরগুলোতে দেশি মরিচে লাগাতার লোকসানের জন্য কৃষকেরা হাইব্রিড জাতের মরিচ বেশি চাষ করেছেন। 
এ মরিচ আগাম ধরে ও দেশি মরিচের তুলনায় বেশি উৎপাদন হয়। এ ছাড়া কাঁচা অবস্থাতেই মরিচ বাজারজাত করে বেশি মুনাফা হয়। তাই কৃষকেরা দিন দিন হাইব্রিড মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। 
ফলে এ উপজেলায় কমেছে দেশি মরিচের আবাদ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং শ্রমিকের মজুরি বেশি, উত্তোলনে খরচ বৃদ্ধি, নদীতে নাব্যতা না থাকায় পরিবহণ খরচ বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এবার লাল মরিচের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। 
স্থানীয় আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার মরিচের দাম তুলনামূলক একটু কম। গত বছর যেখানে লাল টোপা মরিচ প্রতি মণ তিন হাজারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। এ বছর তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজারের কিছু বেশিতে। তবে কৃষকেরা জানিয়েছেন, এ দামে বিক্রি করেও তারা খুশি। এর চেয়ে দাম আরও কমলে তারা ব্যাপকভাবে লোকসানের মুখে পড়বেন।  
সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের পারতিতপরল গ্রামের মরিচচাষি লেবু মিয়া জানান, দেশি জাতের মরিচ চাষ ছেড়ে তিনি এ বছর আট বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে তিন লাখ টাকা।  এ বছর মরিচ চাষে খরচ বেশি হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, মরিচের জন্য বিখ্যাত সারিয়াকান্দিতে বরাবরের মতো এ বছরও আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। মরিচ চাষের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
আদিবাসী পাড়ায় থমকে গেছে প্রকল্পের কাজ ॥ বিপাকে বাসিন্দারা 
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের গোয়ালহুদা আদিবাসী পল্লির বাসিন্দা রেনুকা বালা বলেছেন, সরকারিভাবে গৃহনির্মাণ করার জন্য ঘর-দুয়ার ভাঙ্গার পর প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বসবাসকারীরা এখন মানবতার জীবন-যাপন করছে। গত সোমবার মহেশপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রেনুকা বালা ও তার ছেলে শ্যামল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা সরকারের ১/১ খতিয়ানের গোয়াহুদার ১৭ শতাংশ জমিতে তারা বসবাস করে আসছিল। সরকারের ভূমি অফিসের লোকজন যোগাযোগ করে জানায় এখানে তাদের গৃহনির্মাণ করে দেয়া হবে। সে হিসেবে স্থানীয় ভূমি অফিস ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস তাদের বসতঘর সরিয়ে নেয়ার জন্য বলে। এবং তারা ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। সেখানে গৃহনির্মার্ণের জন্য ইট বালি ফেললোও গত দুই মাসেও গৃহনির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। তারা আরও বলেন, খালিশপুরের সুমার আলী নামের একজন নিজে জমি দাবি করলে প্রকল্পে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন তারা মানবতার জীবনযাপন করছে। মহেশপুরে প্রকল্প বাস্তবায়নের কর্মকর্তা মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গৃহনির্মাণের করার জন্য সকল প্রস্ততি সস্পূর্ণ করেছিলাম। 
কিন্তু জমি নিয়ে মামলা থাকার কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।  খালিশপুরের সুমার আলী জানায়, আমি হিরা বালা ও সবেদা বালার কাজ থেকে জমি খরিদ করেছি। মহেশপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন জানায়, ওই জমি নিয়ে মামলা থাকায় কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। গোয়ালহুদা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পক্ষে রেনুকা বালা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, তাদের দ্রুত গৃহনির্মাণ না করা হলে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়বে।

 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স